নিজস্ব প্রতিবেদক :

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে নিহত ১০ জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে তিনজন নারী, দুজন শিশু ও পাঁচজন পুরুষ রয়েছেন।

বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া এলাকায় ভয়াবহ এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের পরিচয়

চট্টগ্রাম হাইওয়ে পুলিশ নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে। নিহতরা হলেন-১. দিলীপ বিশ্বাস (৪৩), পিতা: দুলাল বিশ্বাস, গ্রাম: শৈলকুপা, ঝিনাইদহ। ২. সাধনা মন্ডল (৩৭), দিলীপ বিশ্বাসের স্ত্রী। ৩. আশীষ মন্ডল (৫০), দিলীপ বিশ্বাসের শ্বশুর। ৪. রফিকুল ইসলাম শামীম (৪৬), পিতা: আব্দুল জব্বার, মিরপুর, ঢাকা। ৫. লুৎফুন নাহার সুমি (৩৫), রফিকুল ইসলামের স্ত্রী। ৬. আনিসা (১৬), রফিকুল ইসলামের বড় মেয়ে। ৭. লিয়ানা (৮), রফিকুল ইসলামের ছোট মেয়ে। ৮. তানিফা ইয়াসমিন (১৬), রফিকুল ইসলামের ভাগিনা।
৯. মুক্তার হোসেন (৬০), তানিফার মামা।
১০. মো. ইউসুফ আলী (৫৫), পিতা: কালা মিয়া, দক্ষিণ খান, ঢাকা। (মাইক্রোবাস চালক)।

দুর্ঘটনার বিবরণ

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রামমুখী রিলাক্স পরিবহনের একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে। চালক বেশ কয়েকবার থামানোর চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা কক্সবাজারগামী মাইক্রোবাসের সঙ্গে বাসটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং ঘটনাস্থলেই ১০ জন নিহত হন।

লোহাগাড়া থানার ওসি আরিফুর রহমান জানান, রাস্তার একটি মোড় এবং লবণবাহী একটি গাড়ির কারণে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের পরিচয় শনাক্ত করার পর আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বর্তমানে মরদেহগুলো হাইওয়ে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

একই স্থানে একাধিক দুর্ঘটনা

এই স্থানে কয়েক দিনের ব্যবধানে একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ঈদের দিন সোমবার দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে পাঁচজন নিহত হন। এরপর ১ এপ্রিল একই স্থানে দুটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে আটজন আহত হন। একাধিক দুর্ঘটনার কারণে এ স্থানটি এখন ‘দুর্ঘটনা প্রবণ এলাকা’ হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে।